খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চার উপদেষ্টার আশ্বাসে ভোর ৪টায় হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা
২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে কাজ

মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিংয়ে চীনা প্রতিষ্ঠানের সাথে চু্ক্তি, ব্যয় ৭৫৪ কোটি টাকা

গেজেট ডেস্ক

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মোংলা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’ বুধবার মোংলা বন্দরের সভা কক্ষে বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং সংক্রান্ত একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ‌্যাডমিরাল এম শাহজাহান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিয়ানসু হাইহং কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কর্পোরেশনের প্রতিনিধি ইয়াং ঝিজুম চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এসময় মন্ত্রণালয় থেকে এমপি এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এসময় মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

মোংলা বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারের সহায়তায় ৯.৫-১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করার লক্ষ্যে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ৮.৫০ মিটার গভীরতায় ড্রেজিং করা হবে। ইনার বারে ড্রেজিং এর জন্য ব্যয় হবে ৭৫৪.০৮ কোটি টাকা। ২০২১ এ জানুয়ারিতে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। চীনের প্রতিষ্ঠান জিয়ানসু হাইহং কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন যৌথভাবে ড্রেজিং কাজটি করবে। ইনার বারে ২১৬.০৯ লাখ ঘন মিটার ড্রেজিং করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরটি বিগত বিএনপি সরকারের আমলে মৃতপ্রায় বন্দরে পরিণত হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ড্রেজিং করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বন্দরের বিভিন্ন প্রকার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ, অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং ড্রেজিং করার জন্য নানাবিধ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং করা হয়েছে। আউটার বারে ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরের এ্যাংকোরেজ এলাকা পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে আসতে পারবে। এর মধ্যে ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসা শুরু করেছে। এতে করে বন্দরে আগত জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি বন্দরের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ইনার বারে ড্রেজিং সমাপ্ত হওয়ার পর বন্দরে আগত জাহাজের টার্ন অ‌্যারাউন্ড টাইম কমে যাবে, পণ্য পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে, যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নসহ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!