মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলার হাড়িয়াঘোপ গ্রামের মফিজুর রহমান মোড়ল। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মফিজুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মোড়লের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে সকালে আসামি মফিজুর রহমানের স্ত্রী বাড়িতে মেয়ে ও ছেলেকে রেখে তার পিতার বাড়ি শ্রীরামকাঠি গ্রামে বিচালী আনতে যায়। কিন্তু বিচালী ভেজা থাকায় তিনি আবার বাড়ি ফিরে আসেন। ঘরের দরজা খুলে তিনি দেখেন মফিজুর মোড়ল তার মেয়ের মুখের উপর বালিশ চাপা দিয়ে ধর্ষণ করছে। এরপর মফিজুর তাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুর নানা জহুরুল গাজী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শার্শা থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মফিজুর মোড়লকে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে। এরপর মফিজুর মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।