চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়ে বেক্সিমকো ঢাকাকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং আকবর আলী। তবে এই দুজনের বিদায়ের পর বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। সেখান থেকে ১৫ বলে ২৭ রানের এক ক্যামিও ইনিংস খেলেও ঢাকাকে জেতাতে পারেননি মুক্তার আলী।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এই উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে শেখ মেহেদির হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ১৬৯ স্কোরবোর্ডে তোলে নাজমুল বাহিনী। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুক্তার আলি।
ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরির পর শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেও চমক দেখিয়েছেন মেহেদি। শেষ ওভারে জিততে ৯ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার। সেই ওভারে নিজের প্রথম তিন বলই ডট দেন এই স্পিনার। চতুর্থ বলে মুক্তার চার মারলেও পঞ্চম বলটি ওভার স্টেপিংয়ের কারণে নো হয়। যদিও ফ্রি হিট থেকে তিনি কোনো রান দেননি। এরপর শেষ বলে মুক্তার ১ রান নিতে পারলে রাজশাহী ম্যাচ জেতে ২ রানে।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ঢাকার শুরুটা ভালোই করেন তানজিদ তামিম। দুই ওভারের মাথায় ১৯ রান স্কোরবোর্ডে তুললেও এবাদত হোসেনের বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পরেন এই ওপেনার। এরপর নাঈম শেখ এবং ইয়াসির আলি মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শেখ মেহেদির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরেন ইয়াসির। তবে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লে’তে রানের চাকা সচল রাখেন নাঈম। ষষ্ঠ ওভারে এবাদত হোসেনকে ১২ রান হাঁকান তিনি। কিন্তু এরপরের ওভারেই আরাফাত সানির বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ব্যাটসম্যান।
চতুর্থ উইকেটে আকবর এবং মুশফিক দারুণ এক জুটি গড়ে ঢাকাকে জয়ের পথে রাখেন। ব্যাট হাতে নিয়মিত বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটসম্যান। শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকা আকবর ২৯ বলে ৩৪ করে ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন মুগ্ধর হাতে সীমার কাছে।
এরপর ব্যক্তিগত ৪১ রানে এবাদত হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিকও। এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে ঢাকাকে জেতাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন মুক্তার। তবে মেহেদির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পেরে ওঠেননি তিনি।
খুলনা গেজেট/এএমআর