আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি নতুন গন্তব্য পিএসজিতে এসে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। নেইমার, ডি মারিয়া, পেরেডেস, ইকার্ডিদের সঙ্গে আগেই অনুশীলন করেছেন তিনি। আসন্ন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে পিএসজি প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে। এ ম্যাচেই কি মেসি নামবেন কিনা তা নিয়ে যখন জল্পনা তখন মেসির জার্সি বিক্রি করে ৭ মিনিটেই ২০ মিলিয়ন ইউরো আয় পিএসজি!
এক প্রতিবেদনে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর মাত্র ৭ মিনিটেই মেসির অফিসিয়াল ৩০ নম্বর জার্সির দেড় লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। এরপর ‘ফুটবল এস্পানা’ হিসাব করে দেখিয়েছে, এই পরিমাণ জার্সি বেচে ক্লাবটি ওই ৭ মিনিটেই মোট ২০ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে।
মেসির নাম ও জার্সি নম্বর লেখা একেকটা অফিসিয়াল জার্সির গড় দাম ১৫৮ ইউরো। যদি দেড় লাখ জার্সি বিক্রি হয়, তাহলে ওই ৭ মিনিটে আসলে তাদের আয় করার কথা ২৩.৭ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু জার্সিগুলোর মধ্যে কিছু আবার শিশু, নারীদের জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হয়েছে। ফলে অংকটা ২০ মিলিয়নের মতোই হবে।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, জার্সি বিক্রির পুরো অর্থ পিএসজির কোষাগারে জমা হচ্ছে না। জার্সি প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইকির সঙ্গে করা বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর তাদের কাছ থেকে ৮০ মিলিয়ন ইউরো পায় পিএসজি। ফলে এর বেশি অর্থ নাইকির ঝুলিতেই যাবে।
তবে ‘এএস’ দাবি করেছে, মেসির জার্সি বেচে যে বিপুল আয় আসছে, তা দেখে পিএসজি এখন চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে পিএসজির প্রস্তাবে নাইকি রাজি হোক আর না হোক, মেসি কিন্তু এখন পর্যন্ত বলে একটি লাথি না মেরেও ফ্রান্সে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে দলে ভেড়ানোর পর পিএসজির জনপ্রিয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আদতে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাব এখন ফরাসি জায়ান্টরাই। আর এই সুযোগে তাদের ব্যাংক ব্যালেন্সও এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। শুধুমাত্র মেসির জার্সি বিক্রি করে যে আয় করলো তারা, তা রীতিমতো চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো।
৩৪ বছর বয়সী মেসিকে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়েছে পিএসজি। সঙ্গে মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। সবমিলিয়ে মেসির পেছনে প্রতি মৌসুমে পিএসজির খরচ হবে আয়কর বাদে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। আর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেই মেসি পকেটে পুরেছেন ২৫ মিলিয়ন ইউরো। বিশাল পরিমাণ অর্থ সন্দেহ নেই।
খুলনা গেজেট/কেএম