কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবারের মতো দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। দলে ছিলেন না ডি মারিয়া কিংবা ওতামেন্দিরাও। তরুণদের নেতৃত্বে শুরুটাও ছিল কিছু ছন্দহীন। তবে সময় যত গড়িয়েছে তত ধার বেড়েছে আক্রমণের। প্রথমে ডেডলক ভাঙেন পারেদেস।
বুলেট গতির শটে আকাশী-সাদা সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ান ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। র্যাংকিংয়ে ১৪৯ ধাপ পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জয়ে এশিয়া সফর শেষ করল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আজ জাকার্তায় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে ২-০ গোলে হারে স্বাগতিকরা।
শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের বিস্তর পার্থক্য। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল আর্জেন্টিনা। ১৪৯ তম ইন্দোনেশিয়া। ধারে-ভারে পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির দল খেলালেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ছিলেন না লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ, নিকোলাস ওটামেন্ডি, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার কিংবা এনজো ফার্নান্দেজের মতো তারকা খেলোয়াড়রা।
‘বি’ টিম নিয়ে মাঠে নামলেও ম্যাচের শুরু থেকে ইন্দোনেশিয়াকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে স্বাগতিকদের রক্ষণ ব্যস্ত রাখে আলবিসেলেস্তেরা। ৩৮তম মিনিটে কাক্সিক্ষত গোলের দেখাও পেয়ে যায় সফরকারীরা।
এজিকুয়েল পালাসিওসের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন লিয়ান্দ্রো পারাদেস।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। জিওভান্নি লো সেলসোর কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান টটেনহ্যাম হটস্পার ডিফেন্ডার। গোটা ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি শট। বিপরীতে ২৬ শতাংশ বল দখলে রেখে ৫টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম