খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

মেয়াদত্তীর্ণ ওষুধ সেবন, অসুস্থ শিশু হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের কচুয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সেবন করে স্বাধীন শেখ নামের সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার দুপুরে শিশু স্বাধীন শেখকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেন বাবা-মা। অসুস্থ স্বাধীন শেখ কচুয়া উপজেলার বাধাল গ্রামের লিটন শেখের ছেলে।

পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার সাংদিয়া বাজারের সাথী ফার্মেসী থেকে রেনসিড নামের একটি গ্যাসের সিরাপ ক্রয় করে বাচ্চাকে খাওয়ালে, সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে।

সিরাপটির মোড়কে দেখা যায়, ইউনানী কোম্পানি রেমেক্স ল্যাবরেটরীজ বাংলাদেশের তৈরি সিরাপটি। সিরাপটির উৎপাদন তারিখ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খাওয়ার ফলেই অসুস্থ হয়েছে বলে দাবি বাবা-মায়ের।

শিশুটির বাবা লিটন শেখ বলেন, স্বাধীন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সাংদিয়া বাজারের সাথী ফার্মেসী থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় একটি গ্যাসের ঔষধ ক্রয় করি। ঔষধটি খাওয়ার পরে আমার বাচ্চা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। আমি ফার্মেসীর মালিক সমীর দাসকে জানালে তিনি বলেন টাকা ফেরত নিয়ে যাও। এতে কিছু হবে না।

শিশুটির মা সাথী বেগম বলেন, ঔষধ খাওয়ার পরে বাচ্চার গায়ে জ্বর উঠে যায়। খুব অসুস্থ্য পড়লে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখনও আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি।

এদিকে ঔষধ বিক্রেতা সাথী ফার্মেসীর মালিক সমীর দাস বলেন, আমি একটি এ্যান্টাসিড ঔষধ বিক্রি করেছি। দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির কথা বলে, আমাকে হয়রানির চেষ্টা করছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া তাসনিম মুনমুন জানান, শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে বাচ্চাদের ঔষধ সেবনের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!