খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

মেম্বারের বিরুদ্ধে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের ২০ মাসের চাল উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শেখ কাওছার আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার ও আত্মসাতকৃত চাল ফিরে পেতে সালমা বেগম নামে এক নারী সোমবার (২৬ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সালমা বেগম ওই ওয়ার্ডের অভয়নগর গ্রামের আবু হানিফ শেখের স্ত্রী ছিলেন।

অভিযোগকারী সালমা বেগম বলেন, ‘আমি একজন স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় দরিদ্র নারী। আমার চারটি শিশু সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে আমার ওয়ার্ডের তৎকালিন মেম্বার শেখ কাওছার আলীর কাছে একটি ভিজিডি কার্ডের আবেদন করি। দীর্ঘদিন ঘুরাঘুরির পর মেম্বার বলেন তোমার নামে কোন কার্ড হয়নি, পরবর্তীতে চেষ্টা করা হবে। গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ৫নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার রাজু সরদার কাছে ভিজিডি কার্ডের জন্য পুনরায় আবেদন করি। এসময় জানতে পারি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে আমার নামে ভিজিডি কার্ড রয়েছে। যার কার্ড নং-০০০১৪৯। যে কার্ড দিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমার স্বাক্ষর জাল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার ও উত্তোলনকৃত চাল ফিরে পেতে সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সাবেক মেম্বার শেখ কাওছার আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

বর্তমান মেম্বার রাজু সরদার বলেন, ‘রবিবার ভিজিডি কার্ডের মাস্টাররোল স্বাক্ষর করার সময় সালমা বেগমের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে সামলা বেগমের ভিজিডি কার্ডটি সংরক্ষিত আসনের সাবেক মেম্বার রোজিনা বেগমের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।’

সাবেক মেম্বার রোজিনা বেগম বলেন, ‘৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শেখ কাওছার আলী আমার হাতে সালমা বেগম নামে একটি ভিজিডির কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করতে পাঠান। পরে কার্ডটি ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বারের কাছে দিয়ে আমি বাড়ি চলে যায়।’
অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার শেখ কাওছার আলীর সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,‘সালমা বেগমের ভিজিডি কার্ড সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। কারো চাল আত্মসাৎ করার প্রশ্নই ওঠেনা। আমার বিরুদ্ধে সালমা বেগমের করা অভিযোগ মিথ্যা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘সালমা বেগম নামে এক নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

খুলনা গে‌জেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!