ওপেনার তামিম ইকবাল যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে আক্ষেপ ঘুচতে পারতো। টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো শতক নেই এই ওপেনারের। ১৮ ইনিংস পর সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম। তবে ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯০ রান করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় সেশনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তামিমের আউটের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তৃতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ দল। শান্ত-মুমিনুলের অবিচ্ছেদ্য ৪৮ রানের পার্টনারশিপে শান্ত ৭৮ ও মুমিনুল অপরাজিত আছেন ২১ রান নিয়ে।
এর আগে তামিম ৬৫ ও শান্ত ৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন। মধ্যাহ্নভোজের আগে যেভাবে রেখে গেছিলেন, ফিরে ঠিক সেভাবেই শুরু করেন দুজন। বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের স্বাদ পেতে ১২০ বল খেলেন তিনি। যেখানে বাউন্ডারি ৭টি। এর আগে শান্ত নিজের একমাত্র ফিফটির দেখা পান ২০২০ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে।
লাঞ্চ থেকে ফিরে তামিম নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শন করতে থাকেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন তিনি। এতে ব্যক্তিগত স্কোরের সঙ্গে দলীয় সংগ্রহও বাড়তে থাকে। তবে ইনিংসের ৪০তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তামিম। থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিশ্ব ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ১০ রানের আক্ষেপে ৯০ রান করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি ওপেনার। এতে দ্বিতীয় উইকেটে থামে তামিম-শান্তর ১৪৪ রানের জুটি।
তামিমের আউটের পর ব্যাট হাতে নামেন মুমিনুল। শান্তর মতো ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে থাকেন তিনিও। এই দুজনের ব্যাটে দ্বিতীয় সেশনও নিজেদের দখলে রেখেছে সফরকারীরা। সঙ্গে শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটছে বাংলাদেশ দল।
খুলনা গেজেট/কেএম