নির্বাচন পরবর্তী পৃথক দুইটি সহিংসতার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদরের বাংলাবাজার ও পঞ্চসার ইউনিয়নে দুইজন, নরসিংদীর রায়পুরায় একজন ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসারের গোসাইবাগে বিজয়ী চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার লোকজন পরাজিত প্রার্থী আলী সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা করে। এ সময় রিয়াজুল শেখ (৭০) আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সদরের বাংলাবাজার ইউপিতে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই মহিলা মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে শাকিল মোল্লা নামের একজন নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল শরীয়তপুরের সখিপুরের কাঁচিকাটা এলাকার হারুন মোল্লার ছেলে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনের বিজয়ী মেম্বার রাবেয়া বেগমের (কলম প্রতীক) ভাগিনাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে মৃত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এ ব্যাপারে কাউকে এখনো আটক করা হয়নি। নিহতের মরদেহ এখনো হাসপাতালে রয়েছে।
অপরদিকে নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় আরিফ মিয়া (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাড়েরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ মিয়া শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের জানখারটেক গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে ভোট গণনার সময় চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে দাড়েরপাড় এলাকার একটি কেন্দ্রে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সমর্থক ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় আরিফকে কেন্দ্রের পাশ থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও এর বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেন নিহত হয়েছেন। ভোট শেষ হওয়া আগ মূহুর্তে ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত সজিব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ আক্তারের সমর্থক ছিলেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই কেন্দ্রের সামনে বিকাল পৌনে চারটার দিকে নৌকা ও এর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এটি সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। সে সময় মাথায় আঘাত পান সজিব হোসেন। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই