নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের খারনৈ ইঊনিয়নের বউবাজারে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ২ জন। অপরদিকে বগুড়ায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে শিশুসহ আহত হয়েছেন তিনজন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার দিকে নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের খারনৈ ইউনিয়নের টেংখালী বউবাজারের কাছে দ্রুতবেগে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, কলমাকান্দা উপজেলার পূর্বজিগাতলা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (১৪), আব্দুল মান্নানের ছেলে মাসুদ মিয়া (১৫) এবং বামনগাঁ গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে সুমন মিয়া (১৫)। স্থানীয় লোকজন আহতের উদ্ধার করে কলমাকান্দা হাসপাতালে পাঠায়।
কলমাকান্দা থানার ইনচার্জ আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুতবেগে মোটরসাইকেল চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আহতরা কলমাকান্দা হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায় দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা যুবকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহতেরা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নান্টু মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন এবং অজ্ঞাত এক যুবক। এছাড়া এ ঘটনায় নিহত ইমরানের স্ত্রী এবং ভাতিজা আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জের উপ-পরিদর্শক আবুল হাসনাত। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এক যুবক নন্দীগ্রাম থেকে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে কুন্দারহাট থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাওয়া মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওই যুবকের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবক মারা যান এবং অপর মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এস আই আবুল হাসনাত বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুই মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড