মৌসুম শুরুতেই আবাহনীর কাছে হেরে বিপাকে পড়ে সাদা-কালো’র দল। সে ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে শোচনীয়ভাবে হারার পর মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। হারলে বিদায়, ড্র করলে অনিশ্চয়তা; কিন্তু অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে নিজেদের শক্তির প্রদর্শন ভালোভাবেই করলো ফেডারেশন কাপের ১০ বারের চ্যাম্পিয়নরা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করলো সাদা-কালোরা।
রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে মোহামেডান প্রাধান্য নিয়ে খেলতে থাকে। যদিও আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে একাদশের তিনজনকে বাইরে রেখে দল সাজাতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লিনকে। তার প্রভাব অবশ্য ছিল না মোহামেডানের খেলায়। আক্রমণাত্মক খেলে চার-চারটি গোল আদায় করে নেয় তারা।
৪২ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে হাবিবুর রহমান সোহাগের বাঁ-পায়ের ফ্রি-কিক জালে আশ্রয় নিলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। যদিও তার আগে ছোট বক্স থেকে বল উপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেছিলেন আমিনুর রহমান সজিব। যেখান থেকে বল জালে পাঠানোর চেয়ে বাইরে মারাই ছিল কঠিন কাজ।
মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচে ফিরতে পারতো দুই মিনিট পরই। কিন্তু আলমগীর মোল্লার ফ্রি-কিক মোহামেডান গোলরক্ষক আহসান হাবিবু বিপুর হাত থেকে ছুটে সামনে গেলে ক্যামেরুনের ক্রিশ্চিয়ান যে শট নেন তা বাইরে চলে যায় একজন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচে ফেরে ৬৮ মিনিটে। সুজন মিয়ার লব থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন উজবেকিস্তানের খলদারভ। ৭৫ মিনিটে হাবিবুর রহমান সোহাগের ডান দিক থেকে নেয়া কর্নার মুক্তিযোদ্ধার খোলদারভ হেড করেছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় মোহামেডানের অধিনায়ক জাপানি নাগাতার কাছে। নাগাতার হেড থেকে আতিকুজ্জামান ব্যাকহেডে বল পাঠান জালে।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ ফিরতে মরিয়া মুক্তিযোদ্ধা আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। সে সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান শন লিনের শিষ্যরা। প্রতি আক্রমণে আরো দুটি গোল করে জয়ের ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেন ৪-১ এ। ৮০ মিনিটে সজিবের ক্রস ধরে নাইজেরিয়ান নুরাত আলতো ভলিতে গোল করেন। তিন মিনিট পর নুরাত নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন।
মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে আবাহনীর বিপক্ষে। ওই ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে কোন দুটি দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বড় জয়ে মোহামেডান ও আবাহনীর কোয়ার্টারে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত। কোয়ার্টারে ওঠা কঠিন কাজ মুক্তিযোদ্ধার। আবাহনীর বিরুদ্ধে অন্তত ৪-০ গোলে জিততে হবে তাদের।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন