মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণের পরই শুরু হয়েছে গণনা। ধারণা করা হচ্ছে, অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বহাল থাকবে।
রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বহির্বিশ্বে সু চির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলেও নিজ দেশে তিনি সমান জনপ্রিয়। ফলে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নীতিগত পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
পাঁচ দশকেরও বেশি সেনা-সমর্থিত শাসনের অবসানের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এবারও তাঁর দল ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সতর্কতা বজায় রেখে পরিচালিত মোট ৪২ হাজার ৪৭টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়।
দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, এ নির্বাচনে এক হাজার ১১৭টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৮৩টি রাজনৈতিক দল এবং ২৬০ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ প্রায় পাঁচ হাজার ৬৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৫৬৫ জন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (নিম্নকক্ষ), ৭৭৯ জন হাউস অব ন্যাশনালিটিজ (উচ্চকক্ষ), আঞ্চলিক বা রাজ্য সংসদগুলোর জন্য তিন হাজার ১১২ জন এবং জাতিগত সংখ্যালঘু আসনের জন্য ১৮৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
নির্বাচনে অং সান সু চির ক্ষমতাসীন এনএলডির হয়ে লড়ছেন এক হাজার ১০৬ প্রার্থী এবং ইউএসডিপির হয়ে অংশ নিয়েছেন এক হাজার ৮৯ প্রার্থী। নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কোনো দলকে দুই কক্ষবিশিষ্ট দেশটির সংসদের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কমপক্ষে ২২১টি এবং হাউস অব ন্যাশনালিটিজে কমপক্ষে ১১৩টি আসন জয় করতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
সাধারণ নির্বাচন হলেও এবার বেশ কয়েকটি স্থানে ভোট প্রদানের কোনো ব্যবস্থা করেনি দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রাখা হয় রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষকে।
খুলনা গেজেট / এমএম