মিয়ানমারে সোমবার নবনির্বাচিত সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩ শতাংশ আসন পায়, যাকে সু চির বেসামরিক সরকারের প্রতি সর্বসাধারণের অনুমোদন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালের নির্বাচনটি ছিল দ্বিতীয় নির্বাচন। তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা সুপ্রিমকোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সোমবার ভোরে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিকে সেনাবাহিনী আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সু চি দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র জানান, সোমবার ভোরে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের আটকের পর রাজধানী নেইপিদো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর। কিন্তু সু চির মতো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার ঘটনা উসকানিমূলক এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পদক্ষেপ দেশটির সামরিক বাহিনী তীব্র বাধার মুখে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম