মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার ভোরে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ আটক সব নেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে জোর করে ক্ষমতা দখল কখনই দেশটির জনগণ মেনে নেবে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। একই সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করার পর এক দশক আগে মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাখাইন রাজ্যে নতুন করে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অধিবাসীদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ সংঘটন’ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
নতুন এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, ভিন্ন জাতির বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা সেনাবাহিনীর হাতে ঢালাওভাবে গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
খুলনা গেজেট/এনএম