মিরপুরের উইকেটের চরিত্র বোঝা বরাবরই বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। তবে বেশিরভাগ সময়ই এই রহস্যের জাল ভেদ করে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্টের চিত্রটা একেবারেই বিপরীত! মিরপুরের হালকা ঘাসের উইকেটে রাজত্ব করছেন পেসাররা। আর তাতেই সফরকারীদের রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা! তৃতীয় দিন শেষে স্কোরকার্ডে চোখ বুলালে যে নূন্যতম ক্রিকেট জ্ঞান রাখে, সেও বুঝার কথা এই টেস্টে হার এড়াতে আফগানিস্তানকে অলৌকিক কিছুই করতে হবে।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে আফগানিস্তান। ঢাকা টেস্টে জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৮ উইকেট। অন্যদিকে, মিরাকল কিছু ঘটাতে আফগানদের লাগবে আরও ৬১৭ রান। আর ড্র করতে হলে উইকেটে কাটাতে হবে পাক্কা দুই দিন!
প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ১৪৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জবাবে খেলতে নেমে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রান তুলে অলআউট হয় আফগানিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রানের লিড পেয়ে প্রতিপক্ষকে ফলো অন করায়নি স্বাগতিকরা। তবে এমন লিডের পরই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বড় লিডের ফলে অনুমিতভাবেই আফগানদের জন্য অপেক্ষা করছিল বড় লক্ষ্য। তবে শান্ত-মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে সেটা রীতিমতো রানপাহাড় হয়েছে! দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। ফলে এই টেস্টে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৬২ রান।
এই পাহাড়সম চাপ মাথায় নিয়ে গতকাল শেষবিকেলে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে আরও একবার আফগান শিবিরে বাংলাদেশের আঘাত। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখছিল তারা। তবে দিনের বাকিটা সময় নিরাপদের পার করেছেন রহমত শাহ এবং নাসির জামাল।
খুলনা গেজেট/এসজেড