ঘুর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে খুলনায় বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকে এই মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিসয় আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিধিলির প্রভাবে খুলনা মহানগরীসহ উপকূল এলাকায় মাঝারী আকারের বৃষ্টি বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও আজ সকাল ৬টা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল থেকে আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উপকূল এলাকায় ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বিকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। এখন জলোচ্ছ্বাস না থাকলেও জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি খুলনার উপকূল, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি।’ এটি আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে 8৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৯ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।
খুলনা গেজেট/এমএম