যুক্তরাজ্য ও মিত্ররা ইউক্রেনের অবকাঠামো এবং সীমান্ত রক্ষীদের ওপর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১৩ টা ৫৩ মিনিটে বরিস জনসন এক টুইটবার্তায় এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি লিখেছেন ইউক্রেনে ভয়ঙ্কর যে ঘটনা ঘটল, তার জন্য আমি আতঙ্কিত। এখন পরবর্তী করণীয় নিয়ে আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি লেখেন বিনাপ্ররোচনায় এ হামলার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রক্তপাত ও ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও মিত্ররা অবশ্যই এর জবাব দেবে।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ‘বিনাউসকানিতে অন্যায্য হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বিস্ফোরণের খবর আসার পর বাইডেনের এ প্রতিক্রিয়া আসে। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ শুরু করেছেন, যা মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় আর দুর্দশা ডেকে আনবে।
এ হামলা যে ধ্বংস ডেকে আনবে, যে প্রাণক্ষয়ের কারণ হবে, তার দায় পুরোপুরি রাশিয়াকেই বহন করতে গহবে। সে জন্য বিশ্বের কাছে রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নেবে, বৃহস্পতিবারই সেই ঘোষণা আসবে।
বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর পূর্ণ মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম