খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় পিয়ারুন বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় মৃতের দুই ছেলেকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় চিকিৎসকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে আধাঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
এদিকে মৃত ওই নারীর দুই ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
তারা হলেন- নগরীর দৌলতপুর পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আঃ রাজ্জাকের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা ছেলেদের আটক রেখে পুলিশে সোপার্দ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিকালে নতুন রাস্তায় সড়ক অবরোধ করে রাখে। রমজানে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় আধাঘন্টা পর সড়ক ছেড়ে দেয় তারা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক দুই ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দীন বলেন, মায়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের সাবেক নগর প্রচার সম্পাদক মোঃ তারিকুল ইসলাম কাবির ও তার ভাইকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা নতুনরাস্তায় বিকাল ৩ টা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত আধাঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। পরে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পৌনে চারটার দিকে দৌলতপুর থানার ওসি জানায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা নিয়ে আসেন। পরে আমরা সোনাডাঙ্গা থানায় গেলে আগেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জানতে পারি। পরে তাদের এবং মায়ের লাশ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে সবাই।
প্রসঙ্গত, শনিবার (০৯ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী পিয়ারুন বেগমের মৃত্যু হয়। একাধিকবার ডেকেও না আসায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেছে তার সন্তানেরা। একপর্যায়ে চিকিৎসকদের সাথে বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনায় মৃতের দুই ছেলেকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা।
খুলনা গেজেট/এএ