ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বৈঠক করেছেন। বুধবার (১৪ জুন) অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি পর্যায়ের এই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বুধবার প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা করেছেন। আগামী সপ্তাহে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে সফরের আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (আইওআর) চীনের ভূমিকার দিকেই মনোযোগ ছিল বেশি।
ইকোনমিক টাইমস বলছে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের ওপর সুনির্দিষ্ট ফোকাসসহ এশিয়াজুড়ে বেইজিংয়ের বিস্তৃত পদচারণার বিষয়ে বুধবারের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়গুলোও এদিনের আলোচনার আলোচ্যসূচিতে ছিল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের দুই প্রতিবেশী – মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ যথাক্রমে এই বছরের শেষের দিকে এবং পরের বছরের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের অভিমত, তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয় যা তার (ভারতের) জাতীয় স্বার্থের প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, চীন অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে পাকিস্তানের পাশাপাশি মিয়ানমারে তার উপস্থিতি প্রসারিত করছে। আর এটিই বেইজিংকে আগামী বছরগুলোতে ভারত মহাসাগর অঞ্চলজুড়ে শক্তি প্রদর্শন করতে সক্ষম করবে।
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কোঅর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্পবেল এদিনের বৈঠকে জ্যাক সুলিভানের সাথে ছিলেন। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের আঞ্চলিক দাবি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের সব পরিকল্পনাই চীনের রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও হিমালয়ের দেশগুলোতেও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে এশীয় পরাশক্তি এই দেশটি।
ইকোনমিক টাইমস বলছে, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে জ্যাক সুলিভানের দু’দিনের এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি)-কে এগিয়ে নেওয়া।
খুলনা গেজেট/এনএম