এমন পরিস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রশ্ন, আইপিএলে সুযোগ পেলেও সাকিবের এই মানসিক ও শারীরিক অবসাদ কাজ করত কি না। আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগে সাকিব অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
পাপন বলেন, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এটা কে জানে? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে আইপিএল খেলতে চাচ্ছিল নাকি? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে তো বলত আমি আইপিএলও খেলব না। ধরুন আইপিএলে ওকে নেওয়া হল, তখন কি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হত? আমার মাথায়ই ঢুকছে না।’
সাকিব জানিয়েছিলেন, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজ তিনি উপভোগ করেননি। পাপনের প্রশ্ন, উপভোগ না করে থাকলে তা কেন আফগানিস্তান সিরিজ শুরুর আগে তিনি বোর্ড বা টিম ম্যানেজমেন্ট অবহিত করলেন না।
‘ওর যে একদম ভালো লাগেনি আফগানিস্তান সিরিজ, এটা তো কাল প্রথম শুনলাম। আপনারা আগে টের পেয়েছেন? আমি তো তের পাইনি। কাল ও বলার আগে কেউ জানে বলে থাকলে এটা মিথ্যা কথা। ওর যদি খেলতেই ভালো না লাগে, তাহলে তো আর কিছু বলার নাই।’
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সাকিবের এই অনীহা তাই কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি, ‘আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ঘটনাটা কী! যেকোনো দেশে যান, পৃথিবীর কোনো খেলোয়াড় নেই। প্রত্যেকের স্বপ্ন জাতীয় দলের জন্য খেলা। আর যখন কি না দল জিতে আর সেই দলে ও খেলে থাকে, এর চেয়ে খুশির জিনিস আর থাকে না। কিন্তু সাকিব বলছে, আফগানিস্তান সিরিজ ও উপভোগই করেনি। ওয়ানডে জিতলাম, এটাও উপভোগ করেনি? টি-টোয়েন্টি প্রথমটা জিতলাম, এটাও উপভোগ করেনি! কেন?’
ক্ষুব্ধ বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘তার যদি অফ ফর্ম থাকে, খেলতে ইচ্ছা না করে, সে বলুক আমি খেলব না। খেলা শেষ হওয়ার পর- আমি উপভোগ করিনি, আগ্রহ পাচ্ছি না, মোটিভেশন পাচ্ছি না- এগুলো না থাকলে খেলছো কেন? আমাদের বলো, আমাদের কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে। না বলে খেলবে, তারপর এসব মন্তব্য করবে?’