আমরা মন্ত্রী, এমপি, সরকারি ও বড় বিরোধী দলের বড়-মাঝারি নেতারা বহর ছাড়া চলতে পারি না। আমাদের কোনো সফরকালে গাড়ি বহর দিয়ে সংবর্ধনা না দিলে, প্রচুর গেট, বিলবোর্ড না করলে, ফুলের প্রাচুর্য না হলে আমাদের মন ভরে না।
আমার মতে, এটি একটি মানসিক রোগ। ইদানিং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। নেতাদের ক্ষেত্রে দলের ছোট নেতা, কর্মীদের পকেট বা চাঁদাবাজি থেকে এই অর্থ ব্যয় হয়। সরকারি কর্মচারীদের বহরে ব্যবহৃত গাড়ির জ্বালানি ও সাড়ম্বরের ব্যয় বহন হয় সরকারি কোষাগার ও ‘অন্য’ উৎসের অর্থ থেকে।
যারা আমাদের এতো আদর আপ্যায়ন করেন, তারা আমাদের নিকট আসলে এক কাপ লাল চা দিয়ে আপ্যায়নও করি না। আবার তারাও বড় নেতা এবং বড় কর্তাদের তোষামোদের জন্য সব উজার করে দেন, কিন্তু তৃণমূলের পরিশ্রমী, ত্যাগী কর্মীদের অথবা অফিসের গরীব কর্মচারীকে এক কাপ চা খাওয়াতে, তার বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারেন না।
বড় নেতা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এই মানসিক অসুস্থতা থেকে বের হতে হবে। প্রজাতন্ত্রে কারো পদই চিরস্থায়ী নয়।
লাখো শহীদের রক্ত বিধৌত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। আসুন, প্রজাতন্ত্রের প্রধান নির্বাহী বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। সাড়ম্বরের অপচয় বন্ধ করে যার যার অবস্থান থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি। অন্তত নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পবিত্রতার সঙ্গে পালন করি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
খুলনা গেজেট/কেএম