মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুইজনের রায় যেকোনো দিন দেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। পরে আদালত মামলাটি যেকোনো দিন রায় দেবে বলে সিএভি করেন।’ রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলেও প্রত্যাশা করেন রেজিয়া।
২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হলো।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ মামলায় তখন চারজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে এখন খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামান কারাবন্দি। অপর দুজন মারা গেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। যার মধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় ট্রাইব্যুনাল।
শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ০২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই