বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৩) গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
চিতলমারী উপজেলা সদরে অবস্থিত হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি ঘেরের পাড়ে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ মামলার আসামি মো. সাহিদ গাজী (৩৫), মো. রিয়াজ ওরফে রিয়াদ ফকির (২০) ও মো. জবেদ শেখ (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন এবং ভিকটিম কিশোরী ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীটি চিতলমারী উপজেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গ্রেপ্তারকৃত মো. সাহিদ গাজী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী (চরকুড়ালতলা) গ্রামের মৃত মোসলেম গাজীর ছেলে, মো. রিয়াজ আড়ুয়াবর্নী চরপাড়া গ্রামের আফজাল ফকিরের ছেলে ও জবেদ শেখ (৪৫) আড়ুয়াবর্নী (শেখ বাড়ির) গ্রামের মৃত আকতার শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ওই ছাত্রীটি কসমেটিক্স কেনার জন্য চিতলমারী বাজারে আসে। এ সময় টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় মেয়েটি খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য সন্ধ্যার দিকে ফোনে রিয়াজের (সম্পর্কে মামা) কাছে ২০০ টাকা ধার চায়। রিয়াজ তাকে হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলে। সেখানে ছাত্রীটি পৌঁছালে রিয়াজ তাকে জোর পূর্বক টেনে-হিচড়ে উক্ত মাছের ঘেরের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীটির মুখ চেপে ধরে মো. সাহিদ গাজী, মো. রিয়াজ ওরফে রিয়াদ ফকির ও মো. জবেদ শেখ পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিউল আলম জানান, অসুস্থ্য কিশোরীর চিকিৎসা সেবাসহ ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামীরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘মেয়েটির উপর ওরা নরপশুর মত বর্বরতা চালিয়ে। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছি। ওদের বিরুদ্ধে আরও অনৈতিক কাজের অভিযোগ আছে।’
খুলনা গেজেট/এএজে