বাগেরহাটে মাদক ব্যবসায়ী ও তার আত্মীয় স্বজনের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল মোল্লা (৩৯)কে গাজাসহ আটকের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ওই রাতেই সাইফুল মোল্লাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, বাগেরহাট মডেল থানার এসআই মামুন শেখ, এ এস আই কবির হোসেন, কনস্টেবল ইসরাফিল হোসেন।
এঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হামলায় আহত পুলিশ সদস্য এস আই মামুন শেখ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামী করে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে গাজা উদ্ধারের ঘটনায় সাইফুল মোল্লাসহ দুই জনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের সাইফুল মোল্লা (৩৯), সাইফুলের প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম (২৯) ও চম্পা আক্তার (২৫)। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সময় সাইফুলের বাড়ি থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী সাইফুলের বাড়িতে গাজা আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের এস আই মামুনের নেতৃত্বে একটি দল সাইফুলের বাড়িতে যায়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশের পোশাক পরিহিত অপর একটি দল একটু দূরে অবস্থান করছিল। গাজা উদ্ধারের পরে সাইফুলের হাতে হাতকড়া পড়ানোর চেষ্টা করে পুলিশ সদস্যরা। এসময় সাইফুল তাদের পরিচয় জানতে চায় এবং ডাক চিৎকার দেয়। নিজেদেরকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে কার্ড প্রদর্শনের পরেও সাইফুল পালানোর চেষ্টা করে। ছেড়ে না দিলে পুলিশ সদস্যদের মেরে ফেলবে বলে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় স্থানীয় বেশকিছু লোক এসে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এএসআই কবির হোসেনকে খালের মধ্যে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজা উদ্ধার করে সাইফুল মোল্লাকে আটকের সময় পুলিশের উপর হামলা করে তার লোকেরা। এতে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে একটি এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই