গত জুলাই মাসেই স্টেডিয়ামে দর্শক রেখে রাগবি লিগের ম্যাচ আয়োজন করেছে নিউজিল্যান্ড। এরপর বছরের শেষে এসে ক্রিকেট মাঠেও দর্শকদের সরাসরি খেলা উপভোগের সুযোগ করে দেয় কিউইরা। ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে দর্শকভরা মাঠে ক্রিকেটের রোমাঞ্চ পুরোপুরি পাওয়া গেছে। যেন সেই চেনা ক্রিকেট মাঠের স্বাদ পাওয়া গেছে দুই দলের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও চলমান টেস্ট সিরিজে।
গত গ্রীষ্মের শেষে ইংল্যান্ডও ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বল্প পরিসরে দর্শক রেখে ম্যাচ আয়োজন করে। ২০২১ ইংলিশ গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দর্শক রাখার পরিকল্পনা ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের। একই পরিকল্পনা আরেক বড় টেস্ট খেলুড়ে দেশ ভারতেরও। সরকার থেকে স্বল্প পরিসরে দর্শক মাঠে ফেরানোর সবুজসংকেত এর মধ্যেই পেয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগ দর্শক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইকে।
গত মার্চের পর ভারতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ। করোনাভাইরাসের কারণে মাঝপথে থামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এরপর লম্বা বিরতির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দর্শকশূন্য মাঠে আইপিএল আয়োজন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এবার ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে যাচ্ছে ভারত। ২০২০-২১ মৌসুম শুরু হবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি দিয়ে।
তবে সরকার থেকে দর্শক মাঠে ফেরানোর অনুমতি পেলেও এখনই ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই। দর্শকশূন্য মাঠেই সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি হবে। তবে আগামী আইপিএল ঘরের মাঠেই দর্শক রেখে আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই।
আইপিএলের আগে অবশ্য ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে ভারত। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফর করার কথা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। চার টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টির লম্বা সফরে ভারতে যাবেন জো রুটরা। পুনে, চেন্নাই ও আহমেদাবাদে হবে ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচগুলো। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের পর এটাই হবে ভারতের ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ। কে জানে, বিসিসিআই চাইলে মাঠে দর্শক রেখে আয়োজন করতে পারে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজও।
তবে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি থেকে শুরু করে বিসিসিআইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপ নজরে রাখবে ভারতের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স। দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য স্টেডিয়ামের প্রতিটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম