খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

মাঙ্কিপক্স নিয়ে নতুন বার্তা দিল ডব্লিউএইচও

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

করোনা মহামারির মধ্যেই ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির দাবি, আফ্রিকার বাইরের দেশগুলোতে যেখানে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, সেখানেই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আটকে রাখা যেতে পারে।

এছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে র‌্যাশ (ফুসকুড়ি) এবং জ্বর দেখা দেয়। মঙ্গলবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের এই সংখ্যাটি এখনও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসাধারণের জন্য এই ভাইরাস নিয়ে সামগ্রিক ঝুঁকি খুবই কম। মূলত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র উদীয়মান রোগ বিষয়ক দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘(মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও) বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে, সেটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সাম্প্রতিক সংক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই। মহামারিতে আক্রান্ত নয় এমন দেশগুলোতে এটি করতে পারি আমরা। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে আমরা প্রাথমিক ভাবে এই রোগ শনাক্ত করে আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠাতে পারি।’

এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে ১৬টি দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হওয়া সত্ত্বেও মাঙ্কিপক্স মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে না এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাস মহামারির সাথে তুলনীয় নয়।

মারিয়া আরও বলেন, এক জন অন্য জনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই হালকা রোগ রয়েছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান প্রাদুর্ভাবের কারণ সম্পর্কে জল্পনা রয়েছে যে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি হয়তো পূর্বের তুলনায় পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ডব্লিউএইচও’র গুটিবসন্ত সচিবালয়ের প্রধান রোসামুন্ড লুইস বলছেন, এই গ্রুপের ভাইরাসগুলো ‘পরিবর্তিত হয় না এবং তারা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে’।

তিনি আরও বলেন, মাঙ্কিপক্স প্রায় ৪০ বছর ধরে মানুষের কাছে পরিচিত। গত পাঁচ বছরে ইউরোপ থেকে সংক্রামক এলাকাগুলোতে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের মধ্যে বেশ কিছু লোক আগেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এই ভাইরাসটি সেসময়ও এতো উদ্বেগ বাড়ায়নি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!