চুয়াডাঙ্গায় মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে বিয়ে ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে। কিন্তু বিচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আবারো লুকিয়ে বিয়ে করেছেন ওই দম্পতি।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামে। ছেলের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনারদাড়ি গ্রামে সোমবার রাতে লুকিয়ে বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন ওই দম্পতি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বর সবুজ আলী। তিনি বলেন, রোববার বিয়েবাড়িতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বর ও কনেপক্ষ। একপর্যায়ে বরপক্ষের তিনজনকে মারধর করা হয়। পরে উভয়পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
তিনি বলেন, রাতে কনে সুমি আক্তার আমাকে ফোন দেয়। একপর্যায়ে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি। সোমবার সকালে সুমি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহ চলে আসে এবং আমরা রাতে বিয়ে করি।
তিনি আরও বলেন, আসলে ২ বছর আগে আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তারপর থেকে সুমির সঙ্গে আমার সম্পর্কটা আরও গভীর হয়। উভয় পরিবারের ভুল বোঝাবুঝির কারণে তো আমরা পৃথক হতে পারি না। এসব ভেবেই আমরা পুনরায় বিয়ে করেছি।
কনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, আসলে বিয়ের দিন বরপক্ষ খুব খারাপ আচরণ করে আমাদের সঙ্গে। বিয়েতে দেওয়া গায়েহলুদের উপহার তারা ফেরত নিয়ে যায়। এছাড়া খাবার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বরপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে তাদের গণ্ডগোল হলে বিয়ে বিচ্ছেদেরে ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর রাতেই উভয়পক্ষ বসে কোনো সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু পরে আমার মেয়ে আবারো সবুজের কাছে চলে যায়।
এ বিষয়ে বর সবুজ আলীর ছোট মামা ফারুক হোসেন জানান, গায়েহলুদের উপহার ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মূলত বাগবিতণ্ডা হয় কনেপক্ষের সঙ্গে। পরে তারা আমাদের মারধর করে। ঘটনার রাতেই বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
তিনি আরও জানান, সবুজ বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর ৫ বছর আগে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি আরবে যায় সবুজ। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে সে সুমির সঙ্গে সম্পর্ক করে।
রোববার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এ ঘটনায় আহত হন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলীর ছেলে শাহ জামাল (২৮), একই এলাকার মৃত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আবদুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)।
খুলনা গেজেট/ এস আই