উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাগেরহাটে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মহাবিপদ সংকেত পেয়ে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।
জেলা দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, দুপুর নাগাদ ৮৪৬০ জন নারী-পুরুষ, ৫৬০ টি গরু মহিষ ৩৫৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য চেষ্টা চলছে।
এদিকে দুপুরেও শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা বেরিবাঁধ এলাকায় মাইকিং করে উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
তবে দুপুর গড়ালেও নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রতি অনীহা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা বেরিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা রমেছা বেগম বলেন, এ ধরনের ঝড়ের বিপদ সংকেত মাঝেমধ্যে আসে তাই এখন আর তেমন ভয় লাগে না। সবকিছু গুছিয়ে রেখেছি যদি ঝড় আসে তখন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাব।
জাহানারা বেগম নামে আরেকজন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি রাতে আসবে তাই এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে যাইনি। বিকালের দিক যদি ঝড় বেশি দেখি তাহলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাব।
শরণখোলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের উপজেলাটি সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় প্রতিটা ঘূর্ণিঝড়েই এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ঘূর্ণিঝড় রেমালে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। উপজেলায় মোট ৯০ টি আশ্রয় কেন্দ্র ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। সকলে যাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসে সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। শুকনো খাবার, ওষুধ ও খাবার পানি মজুদ রাখা হয়েছে। আশা করি বিকালের মধ্যে সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পারব।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সবাই যেন আশ্রয় কেন্দ্রে যায় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে ।
খুলনা গেজেট/এএজে