মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করায় খুলনায় উৎসব মণ্ডল নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। বুধবার রাতে পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পিটুনিতে যুবক নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ।
তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবকটি মারা যায় নি। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যুবকটি কোথায় রয়েছে তা প্রকাশ করতে চাননি কেউ।
স্থানীয়রা জানান, কলেজছাত্র উৎসব মণ্ডল মহানবীকে (সা.) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি করেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজে বের করে ধরে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (সাউথ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে।
ক্ষিপ্ত জনতা কটূক্তিকারীকে তাদের হাতে তুলে দিতে কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতা অফিসে ঢুকে উৎসব মণ্ডলকে গণপিটুনি দেয়।
বুধবার রাত ১২টায় কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলাম জানান, আটক উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তারপরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। তারা উৎসবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
ওই সময় মসজিদের মাইকেও যুবক নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, যুবকটি গুরুতর অবস্থায় বেঁচে আছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোথায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তার নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের নামে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন ইসলাম ধর্মীয় নেতারা।
খুলনা গেজেট/হিমালয়