শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন মহসেন জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ, গ্রাচুইটিসহ চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের দপ্তরে সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন।
গত রবিবার বেলা ১২ টায় খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিকদের ঈদের পূর্বে ৬ হাজার করে টাকা এবং ১ মাসের ভিতর চুড়ান্ত বিল পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শ্রমিক কর্মচারীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। এ দিকে মিলের এক সিবিএ নেতা একাধিক শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার করেন যে মিল মালিক যদিও টাকা দিতো ডিসি অফিসে স্বারকলিপি দেয়ার কারণে মালিক ঈদের আগে কোন টাকা দিবে না, তার এই কথায় পুনরায় শ্রমিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় । এ লক্ষ্যে বিষয়টি শ্রম পরিচালককে জানান তারা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘মিলের নির্বাহী পরিচালক মোঃ তাওহিদুল ইসলামের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে তিনি আমাকে জানিয়েছেন শ্রমিকদের টাকা ঈদের পুর্বে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরোও বলেন, ‘শ্রমিকদের চুড়ান্ত বিল পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মিল থেকে কোন মালামাল বের করা যাবে না।’
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘ইতিপুর্বে মিল থেকে ম্যাশিনারিজ, স্ক্রাপসহ বিভিন্ন মালামাল বের করা হয়েছিলো এবং বর্তমানেও সে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, কাগজী ইব্রাহিম, ইঞ্জিল কাজী, ক্বারী আছহাব উদ্দিন, মহসেন জুট মিল ওয়াকার্স ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, মোড়ল আব্দুর রহমান, আমির মুন্সি, সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক পরিবারের সন্তান সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেক প্রমুখ ।
খুলনা গেজেট/এনএম