খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় ৪ নিহত হওয়ায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ।
শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিপক্ষে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে এবং অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক তাকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সেই নীতিকে ধারণ করে আমরা খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ চলেছি। মশিয়ালীর এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঘটানার সাথে জড়িত শেখ জাফরিন হাসান কে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক বহিস্কৃত সহ-সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যেটা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ দৃঢ় ভাবে বলতে চাই শেখ জাফরিন হাসান খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমানে কোন পদে নাই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় এবং বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ড থেকে ৭-৮ বছর পূর্বে তাকে সংগঠন থেকে চিরোতরে বহিস্কার করা হয়। আমরা খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ বিশ্বাস করি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে কোন অপরাধীর স্থান হতে পারে না এবং যখন যে মুহূর্তে যার বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ আসলে আমরা তদন্তপূর্বক তাৎক্ষণাৎ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকি।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল।
খুলনা গেজেট/এমএম