ঈদুল আজহার মাত্র একদিন বাকি। কোরবানিতে প্রয়োজনীয় পণের মধ্যে মসলা অন্যতম। ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণের বাজারে মসলাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। ঈদের আগেই কয়েক দফায় বেড়েছে মসলার দাম।
বিশেষ করে মাংস রান্না করার প্রয়োজনীয় মসলা জিরার দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে কেজি প্রতি জিরা বিক্রি হতো ৫০০-৫৫০ টাকায়। সেই জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়। এছাড়া বেড়েছে গোল মরিচ, তেজপাতা ও দারচিনির দামও।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিভিন্ন বাজার ঘুরে মসলার দামে এমন চিত্র দেখা গেছে। মসলা জাতীয় পণের মধ্যে দারুচিনি (চীন) প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ প্রতি কেজি ১৫০০-১৬০০ টাকা, এলাচ কেজি প্রতি ২২০০-২৮০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ১৬০০ টাকা, গোলমরিচ (কালো) ৮৫০-৯০০ টাকা এবং ধনিয়ার গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়।
অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭৫-৮০ টাকা, ভারতীয় বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০, রসুন কেজি প্রতি ১৮০, দেশি রসুন ১৬০ এবং আদা ৩৬০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলা বিক্রেতা ইশরাক মিয়া বলেন, মসলার বাজার সব সময়ই আমদানি নির্ভর। যারা আমদানি করে সেখানে থেকে দাম বৃদ্ধি করলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা চাইলেই এলসি খুলতে পারেন না। যার প্রভাব পড়েছে মসলার দাম।
বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে জানতে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো উৎসবের আগে আমাদের বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে গেছে। বাজার যাদের তদারকি করার কথা, তাদের কোনো ভূমিকা না থাকায় এমন অবস্থা। দাম নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলো তদারকি জোরদার করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি