গত ২৪ আগস্ট খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ দেশের ৮ জন সিভিল সার্জনকে একযোগে অন্য জেলায় বদলী করা হয়। খুলনার সিভিল সার্জনকে বদলী করা হয় গোপালঞ্জের সিভিল সার্জনের চলতি দায়িত্বে। ২৪ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ৮ম কর্মদিবস থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হইবেন। কিন্তু ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কর্মস্থল ত্যাগ করেননি এবং স্বাভাবিকভাবে সব কাজ করছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. সুজাত আহমেদ মূলত: উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএন্ডএফপিও)। খুলনার পূর্বের সিভিল সার্জন ডা. এ এম এম আবদুর রাজ্জাক অবসরকালীন ছুটিতে গেলে ডা. সুজাত আহমেদকে সিভিল সার্জনের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগে ২১৭ জন আউটসোসিং কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে দরপত্রে নতুন শর্ত যুক্ত করায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
সূত্রটি জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খুলনা জেলা স্থায়ী বাসিন্দাদের ওই জেলাতে কাজ করার নিয়ম নেই। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা হয়ে ডা. সুজাত দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় কর্মরত রয়েছেন। এতে তার বিরুদ্ধে দরপত্রে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তাকে অন্য জেলায় বদলী করা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা না মেনে তিনি খুলনায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপন বাতিলের জন্য চেষ্টা করছেন।
বিয়ষটি নিয়ে বিপাকে পরেছেন গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় বদলী করা ডা. নিজাদ মোহাম্মদ। বর্তমান সিভিল সার্জন কর্মস্থল ত্যাগ করতে না পারায় তিনি যোগ দিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, “নিয়ম মেনেই সব কাজ করছি।”