যশোরের মণিরামপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ভারতে পাচারের সময় হাবিবুর রহমান নামে এক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনগণ। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।
আটক হাবিবুর রহমান উপজেলার কিসমত চাকলা গ্রামের ওয়াজেদ গায়েনের ছেলে। তিনি সম্পর্কে কিশোরীর খালু। মাত্র ১৬ হাজার টাকায় ওই কিশোরীকে দালালের হাতে তুলে দেন তিনি।
মামলায় বাদী বলেছেন, আমার স্বামী দিনমজুর। পারখাজুরা আশ্রায়ণ পলীতে আমরা থাকি। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে আমার বোন জামাই হাবিবুর রহমান আমাদের পলীতে আসেন। তিনি আমার মেয়েকে বোরখা কিনে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কাঁঠালতলা বাজারে নিয়ে যান। ভাল বোরখা না পাওয়ার অজুহাত দিয়ে পরে মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঝিকরগাছার বাঁকড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন হাবিবুর। পরে বাঁকড়া বাজারে না নিয়ে পাশের মুকুন্দুপুর মহিলা মাদরাসার সামনে নিয়ে যান। সেখানে থ্রি হুইলার (সিএনজি) নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো দুই দালাল। তখন তাদের কথায় সন্দেহ হলে ও তাদের হাতে তুলে দেবার সময় আমার মেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় আশপাশের লোকজন এেিগয়ে এসে হাবিবুরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
মণিরামপুর থানার ভারপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, ১৬ হাজার টাকায় কলারোয়া এলাকার পাকুড়িয়া গ্রামের কবির হোসেনের কাছে স্কুলছাত্রীকে বেঁচে দেয় হাবিবুর। বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুদূর নিয়ে যাবার পর ঝিকরগাছার মুকুন্দুপুর এলাকায় দালাল কবির ও তার স্ত্রী মনোয়ারা হাবিবুরের সাথে যুক্ত হয়। সেখানে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে কান্নাকাটি শুরু করে মেয়েটি। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে তারা বাঁকড়া ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ হাবিবুরকে আটক করে এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
ওসি বলেন, লোকজন জড়ো হতে দেখে কবির ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। রাতে বাঁকড়া পুলিশ আমাদের খবর দিলে পুলিশ পাঠিয়ে ওদের থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন।