মণিরামপুরে মাদ্রাসায় দানকৃত ১৭ শতক জমি দখলের চেষ্টা এবং নতুন কমিটি গঠনে প্রতিবাদ করাসহ নানা ইস্যুতে বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার বিজয়রামপুর কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বিজয়রামপুর গ্রামে মৃত মুনতাজ পাটোয়ারীর স্ত্রী শামছুন্নাহার বিজয়রামপুর কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার নামে ১৭ শতক জমি দান করেন। এরপর থেকে সুনামের সাথে মাদ্রাসার কার্যক্রম চলে আসছে। অভিযোগ উঠছে, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে একটি চক্র মাদ্রাসার জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনসহ দানকৃত জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি মাদ্রাসার চলমান কমিটির অধিকাংশদের না জানিয়ে হঠাৎ একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এ ঘটনায় পূর্বের কমিটির সেক্রেটারী কারী তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গত ১৪ আগষ্ট মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরআগে মাদ্রাসার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। থানায় এবং ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারী তোফাজ্জেল হোসেন। এরই জেরধরে গত রবিবার রাতে ১০/১২ জনের একটি চক্র অভিযোগকারী তোফাজ্জেল হোসেনসহ নাম ধরে কয়েকজনকে খুঁজতে থাকে। এসময় মাদ্রাসার পাশে একটি বোমার বিষ্ফোরণসহ ওমর নামে একজনকে মারপিট করা হয়।
জানাযায়, ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার এস আই মহাসিনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানতে চাইলে থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, একজনকে মারপিটের খবর শুনেছি, তবে বোমা বিষ্ফোরণের খবরটি সঠিক নয়।
খুলনা গেজেট/এআইএন