করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাদান শুরু হয়েছে। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে, এ নিয়েও দেখা গেছে আতঙ্ক। এর মধ্যে টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানায়, তাদের টিকা দুই বছর পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে।
যদিও এই তথ্যের পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়নি মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। তাহলে কি একবার করোনার টিকা নেওয়াই যথেষ্ট নয়, এমন প্রশ্ন ওঠেছে। ডয়চে ভেলের খবর।
মডার্নার সিইও স্টেফান বানসেল সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, করোনার টিকা কয়েক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে, কিছুদিন আগে এমনটা প্রকাশ হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। তারপর ফের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাস। মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন।
স্টেফানের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন দুই বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এই বক্তব্যের পক্ষে তার কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। বাস্তবে টিকার সক্রিয়তা কতদিন থাকবে, তা দেখতে হবে।
অন্যান্য টিকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য মডার্নার টিকাও দিচ্ছে মানুষকে। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নেও মডার্নার টিকা ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে ফাইজারের টিকা ছাড়পত্র পেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অক্সফোর্ডের টিকাতেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। ফলে অক্সফোর্ডের টিকার সঙ্গে এখন প্যারাসিটামলও দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এ টিকা নেওয়ার পরে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে।
কোনো কোনো চিকিৎসকের বক্তব্য, করোনার টিকায় স্বাভাবিক ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতায় সমস্যা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই পরীক্ষিত নয়। যে রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ডের টিকার কার্যকারিতা এক বছরের বেশি নয়। যদিও সেরাম এই বক্তব্য মানতে চায়নি। তবে তাদের টিকার কার্যকাল কতদিনের সে বিষয়েও তারা স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। ভারত বায়োটেকও তাদের টিকার কার্যকাল বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
মডার্না অবশ্য দাবি করেছে, তাদের টিকা কভিড ঠেকাতে ৯৪ দশমিক এক শতাংশ কার্যকর। যদিও এটা নিয়েও কোনো তথ্যপ্রমাণ দেননি মডার্নার সিইও।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন