পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রোববার গেঞ্জি ও ট্রাউজার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় বালুর মধ্যে পুতে রাখা নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহত অটো চালক আলমগীর হোসেন (৩৯) বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হারুন অর রশিদের পুত্র।
অটো চালক আলমগীর গত ৪ এপ্রিল নতুন অটোরিক্সাসহ নিখোঁজ হয়। পরের দিন তার ভাই হুমায়ূন কবির ফকিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে মঠাবড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান সোমবার প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, নিহত আলমগীরের অটো রিক্সাটি সোমবার ভোর রাতে উপজেলার বড়মাছুয়া এলাকার একটি রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের নান্না মৃধার ছেলে ফকিরহাটের অস্থায়ী বাসিন্দা মজিবর মৃধা ও তার সহযোগিরা মিলে কৌশলে অলমগীরকে অটো রিক্সাসহ অপহরণ করে মঠবাড়িয়ায় এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই অটো রিক্সাটি ঘাতক মজিবর মৃধার ছোট ভাই আরিফকে দিলে সে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ভাড়ায় চালাতো।
এদিকে ফকিরহাট থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, আলমগীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার ভাই মোঃ হুমায়ুন বাদী হয়ে গত শুক্রবার একই জেলার শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের সিদ্দিক খানের দুই পুত্র আবুল খান জুয়েল (৪৫) ও শান্তু (২৮) এর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে আবুল খান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে মঠবাড়িয়ার মুসল্লী বাড়ি নামক স্থানের ইউসুফ হাওলাদারের নির্মাণাধীন ভবনের মেঝে বালুতে গেঞ্জি ও ট্রাউজার দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় পুতে রাখা লাশ উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি