আ’লীগ নেতারা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এড. মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এড. মঞ্জুরুল ইমামের দৈহিক মৃত্যু ঘটেছে; কিন্তু তার আদর্শের মৃত্যু ঘটেনি। মঞ্জুরুল ইমাম এখনও খুলনার মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।”
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তৃরা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনব্যাপী নানা কর্মসুচি পালন করেছে।
আ’লীগ: বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ। আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
স্মরণ সভায় বক্তরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ ছিলো সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। বিএনপি জামায়াত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলো। তারা স্বনামধন্য শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক সহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। তাদের সেই নীল নকসার অংশ হিসেবে খুলনায় সততার প্রতীক এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করে।
বক্তরা পুনতদন্তের মাধ্যমে মঞ্জুরুল ইমাম হত্যার মদতদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এসময়ে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো: সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনিন নাহার কণা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগ আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলমের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বি এম এ ছালাম, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, রফিকুর রহমান রিপন, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, আব্দুল্লাহ হারুন রুমি, আজগর আলী মিন্টু, অধ্যা. রুনু ইকবার বিথার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বন্দ, অসিত বরণ বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, এস এম আকিল উদ্দিন, আজগর বিশ্বাস তারা, মো. জামিল খান, অধ্যা. আশরাফুজ্জামান বাবুল, অধ্যা. এবিএম আদেল মুকুল, মো. ইমরান হোসেন, আইরিন চৌধুরী নীপা, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর ইমাম হোসেন চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, সমীর কৃষ্ণ হীরা, পারভিন ইলিয়াছ, এ্যাড. এনামুল হক, নূরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি প্রমুখ।
যুবলীগ: বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় থেকে নগর আওয়ামী লীগের শোক র্যালীতে অংশগ্রহণ করে সামসুর রহমান রোডস্থ এড. মঞ্জুরুল ইমাম স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর নগরীর বয়রায় মরহুমের কবর জিয়ারত এবং পাশ্ববর্তী মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, নগর যুবলীগ নেতা এড. আল আমীন উকিল, কাজী কামাল হোসেন অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মহিদুল ইসলাম মিলন, মোস্তফা শিকদার, মসিউর রহমান সুমন, ইয়াসিন আরাফাতসহ নগর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ : বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে শোকর্যালী শুরু হয়ে ২৩ নং ওয়ার্ডের মির্জাপুরে তার বোমা হামলার স্থলে গিয়ে শোক র্যালি শেষে তার অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ। এরপরে সকাল ১০ টায় নগরীর বয়রায় শহীদ মঞ্জুরুল ইমামের কবর জিয়ারত এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবর সংলগ্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম.এ নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ মোজাহার হোসেন মোজ, কাজী ইউসুফ আলী মন্টু, মোঃ কামরুল ইসলাম, মিঠু দে, মোঃ রাজিব হোসাইন, মোঃ জিলহাজ্জ হাওলাদার, আশরাফুল আলম বাবু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, এস.এম. নুর হাসান জনি, মোঃ শফিকুল ইসলাম অভি, মোঃ তাজমুল হক তাজু, এস.এম. আসিফ ইকবাল সবুজ, কামরুজ্জামান ইমরান, আনন্দ দফাদার, মোঃ আকরাম হোসেন, মোঃ ইব্রাহীম মোড়ল, মোঃ নয়ন সরদার, লিটন মাহামুদ, মোঃ জাহাঙ্গীর হাসান, মোঃ ইব্রাহীম শেখ, মোঃ শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ ইসরাফিল, আলোক বিশ্বাস, নুর ইসলাম খান বিপ্লব প্রমুখ।
ছাত্রলীগ : বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে শোকর্যালী শুরু হয়ে ২৩ নং ওয়ার্ডের মির্জাপুরে তার বোমা হামলার স্থলে গিয়ে শোক র্যালি শেষে তার অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। এর পরে সকাল ১০ টায় নগরীর বয়রায় শহীদ মঞ্জুরুল ইমামের কবর জিয়ারত করা হয় ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবর সংলগ্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বিএল কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তাজমুল হক তাজু, আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, মাহামুদুল হাসান শাওন, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, পাপ্পু সরকার, ইয়াসিন আলী, মেহেদী হাসান মান্না, মাহামুদুল হাসান সুজন, কামরুজ্জামান ইমরান, সোহান হোসেন শাওন, তায়েজুল ইসলাম তাজ, মাহামুদুর রহমান রাজেস, আব্দুল কাদির সৈকত, হিরণ হাওলাদার, এম.এ হোসেন সবুজ, বায়েজিদ সিনা, আহানাফ অর্পন, বাতেন শিকদার প্রমুখ।
অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা মহানগর মহিলা লীগ।