নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অবৈধ মজুদদারী ঠেকাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন নির্দেশনা দিয়েছে। জেলা বাজার কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর প্রশাসনের এ নির্দেশনা পালন করবে। প্রশাসনের নির্দেশনায় দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি রোধে মনিটরিং, নজরদারী বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিককরণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও রয়েছে।
গতমাসে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় অধিকাংশ বক্তা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য উর্ধ্বগতি। আমদানি নির্ভর পণ্য বিদেশি ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভরশীল। দেশীয় পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তা সাধারণ নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রীর সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে মূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুস সালার তরফদার এ সভায় উল্লেখ করেন, চাল, পেয়াজ, তেল, চিনি, মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বাড়ায় আমদানীকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এক্ষেত্রে রহস্যজনক। তিনি বাজার মনিটরিং-এর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এসভায় ক্যাবের প্রতিনিধি কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং, নজর বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হবে বলে উল্লেখ করেন। গত ১৪ নভেম্বর বাজার কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাল, সয়াবিন, পামওয়েল ও আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী বাজারে মোটা চাল প্রতিকেজি ৪৪-৪৬ টাকা, চিকন চাল ৬৪ টাকা, দেশি মসুরের ডাল ১২০-১২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা, দেশি মুরগী ৪০০-৪২০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৫০-৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই