মগবাজারে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং গুরুতর আহত ৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মোঃ রায়হান জানিয়েছেন, বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগই আশেপাশের ভবন, কয়েকটি বাসের যাত্রী এবং পথচারী।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঐ কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও রোববার রাতে ঢাকার মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, এই ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলছেন, এসির বিস্ফোরণ ঘটেছে, কেউ বা মার্কেটের জেনারেটরকে দায়ী করছেন। অনেকেই ট্রান্সফরমারের কথা বলছেন। তবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, শর্মা হাউজ নামে ফুডশপে গ্যাস জমে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিস্ফোরণের সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে, মৌচাক-মগবাজার সড়কের ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের সেই তিনতলা পুরনো ভবনটি আংশিক ধসে পড়েছে। সেই সঙ্গে আশেপাশের অন্তত এক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনের এলাকাটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
ভবনের নিচতলায় একটি খাবারের দোকান ও একটি মাংস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দোকান ছিল, যার অস্তিত্ব বোঝার কোন উপায় নেই। উপরে ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রির একটি শো-রুম ছিল, সেটির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে। ভবনটি অনেকগুলো পিলার ভেঙ্গে উপরের তলাগুলো ধসে পড়েছে।
এই ভবনের ঠিক ওপর পাশে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের একটি শো-রুম রয়েছে। সেটির এবং আশেপাশের সবগুলো ভবনের সব কাঁচ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। সেটির ঠিক সামনেই একটি বাস রয়েছে, যার সবগুলো কাঁচ ভেঙ্গে গেছে, গাড়িটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশেপাশের সব ভবনের, রাস্তার উল্টো পাশের ভবনের কাঁচ ভেঙ্গে গেছে। বাসগুলোর ভেতরে ও বাইরে রয়েছে রক্তের দাগ। এমনকি রাস্তার উল্টো পাশে কয়েকশো গজ দূরের একটি বাসের সবগুলো কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম