যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে পুলিশ সদস্য স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার ( ১৭ অক্টোবর) যশোর সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
মামলার আসামিরা হলো, যশোর পুলিশ সুপারের বডিগার্ড কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম এবং মা কুলসুম খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রাজু আহমদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর আসামি জাহাঙ্গীর আলম বিয়ে করেন আয়েশা সিদ্দিককে। বিয়ের পর জাহাঙ্গীর আলমকে যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার দেয়া হয়। সংসার করা কালে আয়েশা সিদ্দিক অন্ত:সত্ত্বা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে জাহাঙ্গীর আলম সন্তান নষ্টের জন্য ওষুধ কিনে দেন এবং খেয়ে নেয়ার তাগিদ দেন। কিন্তু আয়েশা সিদ্দিক ওষুধ না খেয়ে ওষুধ খেয়েছেন বলে তার স্বামীকে জানান। জাহাঙ্গীর বিষয়টি বুঝতে পেরে অপর আসামিদের পরামর্শে সরবতের মধ্যে ওষুধ দিয়ে আয়েশা সিদ্দিককে পান করান। ফলে আয়েশা সিদ্দিকের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায় ও তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর জাহাঙ্গীর মোবাইলে তাকে তালাক দেবে বলে হুমকি দেন। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মঙ্গলবার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি