গত মাসের শেষদিকে বিদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিত করে ভারত সরকার। এখন দেশটির ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
বুধবার এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা। তিনি বলেন, আপাতত ভ্যাকসিন রপ্তানির কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা মনে করছি, এমন সংক্রমণের সময়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে আমাদের রপ্তানির দিকে তাকানো উচিত হবে না। জুন-জুলাইয়ে আমরা আবারও সামান্য পরিমাণে ভ্যাকসিন রপ্তানি শুরু করতে পারি। তবে এই মুহূর্তে আমরা ভারতকেই অগ্রাধিকার দেব।
এদিকে সরকারি সাহায্য নিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সেরাম। পুনেওয়ালা বলেন, আমরা শুনেছি তিন হাজার কোটি রুপি মঞ্জুর হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি শিগগিরই আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। তবে আমরা এই অর্থের জন্য অপেক্ষা করিনি, উৎপাদন বাড়াতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি। আশা করছি, এই সপ্তাহেই সরকার থেকে আমাদের কাছে ওই অর্থ পৌঁছাবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচারমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এরই মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার করোনা মহামারির মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলো।
মরণঘাতি করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’
ড. হাছান এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে আপনারা সবসময়েই সচেষ্ট ছিলেন, এখনও নানা ধরনের গুজব রটনার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানাই।’
খুলনা গেজেট/এমএইচবি