ভোলায় গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা করেছে পুলিশ। এতে নাম উল্লেখ করে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি ২টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
৩১শে জুলাই রোববার রাতে ভোলা সদর থানায় এ দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভোলা সদর থানার এসাই মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার এবং স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী হত্যার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছেন ভোলা থানা পুলিশ।
ভোলার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন সংবাদিকদের জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতকালের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আ. রহিম হত্যার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোলা থানা মামলা না নিলে তারা কোর্টে মামলা করবেন বলেও জানান জেলা বিএনপির সভাপতি।
এদিকে আজ ভোলার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মার্কেট সমুহে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি অফিসের সামনেও পুলিশ অবস্থান নিলেও দুপুরের পর থেকে সকল পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অফিস আদালত খোলা থাকলেও শহরে মানুষের উপস্থিতি কম। অপরদিকে ভোলার বিএনপি কর্মী নিহতের ঘটনায় আগামীকালের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই