ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কেন্দ্র বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। ভোলার পাশ দিয়ে রাত ৯টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্র উপকূলে প্রবেশ করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দ্রুতগতির ঝড়। এ রকমটি সাধারণত দেখা যায় না। খুব দ্রুতগতিতে এটি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে। রাত ৯টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্র ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। কেন্দ্রটি স্থলভাগে উঠে যাওয়ার পর ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি (ঝড়ের পুরো ব্যাস) বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে ফেলবে।’
এর আগে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপকূলে আঘাত করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার ছিল কক্সবাজারে। এর বেশি এখনও আমরা পাইনি। উপকূলের অন্যান্য অংশে গতিবেগ এর চেয়েও কম।’
আবহাওয়াবিদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্র স্থলভাগের আঘাত হানার মধ্য দিয়ে এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে আসবে। রাত ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দেশের উপকূল পুরোপুরি অতিক্রম করে ফেলার কথা রয়েছে। তবে এর প্রভাব আরও কিছু সময় ধরে থাকবে।’
তিনি জানান, উপকূলে কেন্দ্রটি আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আমরা কক্সবাজারে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছি ৭৪ কিলোমিটার।’
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় নিজে যখন এগিয়ে আসে সেটাকে বলা হয় বডি মুভমেন্ট। বডি মুভমেন্টের দিক থেকে এই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এক্সট্রা অর্ডিনারি। কিন্তু এর সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ কেমন হবে তা নির্ভর করে না।’