খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

ভোমরা স্থলবন্দরে ২য় দিনের মত কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ৩০/৩৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনের মত রোববার কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘন্টাব্যাপী এই কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ে বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বন্দরে টানা ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভোমরা স্থলবন্দরের ৮টি সংগঠন এই আন্দোলন ও কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

এদিকে ২৯ জানুয়ারি প্রথম দিনের কর্মসূচির পর ঐদিন রাতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় চাঁদা দিয়ে ভোমরা স্থল বন্দরে প্রবেশ করার অভিযোগে ৫৩টি ভারতীয় আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল খালাস করেনি শ্রমিকরা। বন্দরে আটকা পড়েছে পণ্যবাহি এসমস্ত ভারতীয় ট্রাক।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার ভোমরার বিপরিতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে নিয়মিত সিরিয়াল ছাড়া তাৎক্ষণিক ওই ট্রাক প্রবেশ করোনা হচ্ছে ভোমরা বন্দরে। অপরদিকে চাঁদা না দিলে সিরিয়ালের নামে ১৫ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত আটক রাখা হয় অন্যান্য পণ্যবাহি ট্রাকগুলি। ঘোজাডাঙ্গায় আটকা পড়ে থাকার কারণে পেঁয়াজ অনেক পচনশীল পণ্য ট্রাকেই নষ্ট হচ্ছে। ফলে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন বন্দরের ব্যবসায়িরা। এভাবে দৈনিক শতাধিক বা তার অধিক ট্রাক থেকে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে ভারতীয় পাড়ের এক গডফাদার।

আমদানিকারকরা হিমশিম খাওয়ায় চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেতে ভোমরা বন্দরের এসব সংগঠন এই আন্দোলনে নেমেছে। চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!