প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমি সুষ্পষ্ট করে বলতে চাই; আমরা ভবিষ্যতে চোর হবো না ডাকাত হবো সেটা এখনই বলতে পারবো না। তবে আমরা এখনও অতোটা অসৎ হয়ে পড়ি নাই। রোববার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে তিনি এমন কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল বলছে আমরা নাকি একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা নিয়ে এসেছি। দলটা কারা সেটা আমি বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা বাক্স খুলে দেখেছি কোথাও এজেন্ডাটা নেই। আমরা এখনও অতোটা অসৎ হয়ে পড়িনি। আমি সুষ্পষ্ট করে বলতে চাই আমি ভবিষ্যতে চোর হবো না ডাকাত হবো সেটা বলতে পারবো না। কিন্তু এজ অব নাও ওইভাবে কোনো রকমের পক্ষপাতিত্ব বা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার মানসিকতা এখনও আমাদের ভেতরে জন্ম নেয় নাই। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাচ্ছি, আমরা তো সমস্যা বন্ধ করতে পারবো না। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের মাঠে কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায় তাহলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। ভোটের মাঠের সহিংসতা নির্বাচন কমিশন বন্ধ করতে পারবে না জানিয়ে সিইসি এনডিএম দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন খেলোয়াড় হচ্ছে রাজনৈতিক দল। আপনারা মাঠে যাবেন। মাঠে খেলবেন আমরা রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমাদের অনেক ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা কিন্তু কম না।’
সিইসির এমন বক্তব্যের পর এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আইনে আমাদের শটগান নিয়ে দাঁড়ানো পারমিট করে না। নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা আছে, এ দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। প্রশাসন দিয়ে আপনাদেরই নির্বাচন পরিস্থিতি সুষ্ঠু করতে হবে।’
জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাচ্ছি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায় আমাদের ওপরে চাপাবেন না। আমরা আমাদের নির্বাচনের দায়টা বহন করবো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সরকার সহায়তা না করলে নির্বাচনের পরিস্থিতি মন্দ হতে পারে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই