ভোটে ভরাডুবির পর চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। গৃহবিবাদে এখন জি এম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়েই শুরু হয়েছে টানাটানি। তাকেসহ দলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ।
সমঝোতায় ২৬ আসন জুটলেও ভোটের লড়াইয়ে টিকেছে ১১টি। এমন ভরাডুবির পর জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ের সামনে পরাজিত প্রার্থী ও মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনেকের বিক্ষোভ করেছেন। ব্যর্থতার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান-মহাসচিবের পদত্যাগও চান কেউ-কেউ।
মনোনয়ন বঞ্চিতরা বলছেন, আমাদের চেয়ারম্যান এক-দুজনের সঙ্গে (নেগোসিয়েশন) আলাপ-আলোচনা করে হোল্ড পার্টি টায়ার্ডকে না জানিয়ে তিনি এককভাবে করেছেন। উনি যদি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাহলে এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট।
এরপরই শুক্রবার সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ ও সুনীল শুভরায়কে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় দেশের কয়েক জায়গায়। নির্বাচন ঘিরে দলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে অদূরদর্শিতা ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন শুভরায়।
তিনি বলেন, দলের মহাসচিব বা যারা সিনিয়র তারা এটা ডিল করেছেন। তাদের অপরিপক্বতা, অদূরদর্শিতা অথবা তাদের লোভ; বাণিজ্যিক বাসনা। এর কারণে এই বিপর্যয়টা ঘটেছে। ১৮শ’ ফরম বিক্রি করেছেন। সেই হিসাবে দাম পড়ে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তো সেই টাকাটা কি করেছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার বনানী কার্যালয়ের সামনে চুন্নুর পক্ষে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় একদল যুবক। এরপরই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন জি এম কাদের। দলটির মহাসচিব বলছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তারা সব বক্তব্য রেখেছেন পার্টির শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেসবের পেছনে এই দুজনের নিয়ন্ত্রকের একটা ভূমিকা ছিল। যার জন্য চেয়ারম্যান বিশেষ ক্ষমতা বলে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।