অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদ থেকে হাবিবুর রহমান (২৭) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের হাতে ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা অবস্থায় উপুড় হয়ে ভাসছিল।
হাবিবুর রহমান অভয়নগর উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
হাবিবুর রহমানের স্ত্রী তামিমা আক্তার জানান, পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রোববার (২১ জুলাই) বিকেলে হাবিবুর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ ছিল এবং রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। হাবিবুর রহমানের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় তারা ভৈরব নদে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় নদে মরদেহটি ভাসতে দেখে ফের পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ বিকেল তিনটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নৌ পুলিশ জানায়, হাবিবুর রহমানের মরদেহটি নাইলনের দড়ি দিয়ে শরীরের পেটের দিকে প্যাঁচানো ছিল এবং হাত ও পায়ের সাথে চারটি বালুর বস্তা বাঁধা ছিল। পেটের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল, যেখান থেকে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল।
নওয়াপাড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লোকমান হোসেন বলেন, হাবিবুর রহমানের মরদেহ ভৈরব নদ থেকে উপুড় হয়ে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার পেটের ডান পাশে কোপের চিহ্ন রয়েছে এবং সেখান থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আছে। লাশের চারদিকে নাইলনের দড়ি প্যাঁচানো এবং দুই হাত ও দুই পায়ে একটি করে বালুর বস্তা বাঁধা ছিল।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে অভয়নগর থানায় নেওয়া হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে