খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

ভূমিকম্পে কাঁপল অ-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ

ক্রীড়া ডেস্ক

অ-১৯ বিশ্বকাপের প্লেট সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ব্যাট করছে তখন। চলছিল ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার। বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। পরে জানা গেল, ৫.২ মাত্রার সে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল স্টেডিয়াম থেকে খুব কাছেই।

ভূমিকম্প যখন হচ্ছে, ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচারে তখন দেখা যাচ্ছিল তীব্রভাবে কাঁপছে ক্যামেরার পর্দা। পরক্ষণেই এক ধারাভাষ্যকার বলে বসলেন, ‘বন্ধুরা, আমার মনে হচ্ছে একটা ভূমিকম্প হচ্ছে। আমরা বক্সে বসে সেটা অনুভব করতে পারছি।’ যদিও কণ্ঠে উদ্বেগের ছাপ ছিল না আদৌ।

অল্প কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, রিখটার স্কেলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লুপনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৫.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প শনিবার সকালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় সংঘটিত হয়।’ পূর্ব ক্যারিবিয়ানের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র ইউডব্লিউআই সাইসমিক রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়।

সে সময় ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা অ্যান্ড্রিউম লেনার্ড জানান, ‘এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড। তবে কখনোই মনে হয়নি যে মিডিয়া সেন্টারটা ভেঙে পড়বে। মনে হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সবকিছু নড়ছে, কিন্তু আপনি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। কেউ জানে না শেষে কী হবে! বিষয়টা কিছুটা ভয়েরই ছিল।’

মাঝে অবশ্য সবকিছু শান্তই ছিল। কেউ বুঝতেই পারেননি কী ঘটে গেছে প্যাভিলিয়নে। খেলা শেষে টিম টেক্টর ক্রিকবাজকে জানালেন, ‘আমরা জানতামই না যে কিছু ঘটে গেছে। আমরা মাটিতে ছিলাম, সে কারণেই হয়তো আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প, অনেক বড় কিছু। তবে আমরা ম্যাচ চলার সময় মোটেও অনুভব করিনি সেটা।’

খেলোয়াড়রা কিছু না বুঝলেও মাঠের বাইরে থাকা সাপোর্ট স্টাফরা অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্পটা, পরিকল্পনা ছিল যে কোনো মুহূর্তে মাঠে ঢুকে যাওয়ারও। এমন ভূমিকম্পেও ম্যাচ চলছে, তা নিয়ে বিস্ময়ের শেষ ছিল না দুই দলের কোচিং স্টাফদের। আইরিশ দলের সঙ্গে কথা বলে ধারাভাষ্যকার লেনার্ড জানান, ‘কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, যে এই পরিস্থিতিতেও খেলা চলছে। ভূমিকম্পটা তাদের জন্য কিছুটা উদ্বেগ নিয়েই এসেছিল।’

লেনার্ড আরও যোগ করেন, ‘তারা মাঠ থেকে অনেক দূরে ছিলেন তারা। ব্রায়ান লারা প্যাভিলিয়নে। তারা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আইরিশ স্টাফরা সবাই মাঠে ঢুকে পড়তে তৈরি ছিলেন। যদিও তা মাত্র ২০ মিনিট টিকে ছিল। কিন্তু কম্পনটা বেশ তীব্রই ছিল।’




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!