মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে চালকের আসনেই ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি)। বিরাট কোহলি-গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে রান বাড়ছিল দ্রুত গতিতে। কোহলি সাজঘরে ফিরে গেলেই যেন ধস নামে। ১৯ রানের ব্যবধানে আরসিবি হারায় ৩ উইকেট।
শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত এ বি ডি ভিলিয়ার্সের দারুণ ইনিংসে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে আরসিবি।
শুক্রবার (৯এপ্রিল) চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হয় দুই দল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে মুম্বাই। লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে ২ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আরসিবি।
কোহলি-ম্যাক্সওয়েলরা ফির গেলেও ক্রিজে ছিলেন ভিলিয়ার্স। তিনি ছিলেন ইনিংসের শেষ দুই বল আগ পর্যন্ত। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২টি ছয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য দুই রান প্রয়োজন ছিল। তা নিতে ভুল করেননি সিরাজ-হারশাল।
কোহলি-ম্যাক্সওয়েল জুটি থেকে আসে ৫২ রান। ২৯ বলে ৩৩ রান করেন আরসিবি অধিনায়ক। ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ২টি ছয়ে ৩৯ রান। মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন যসপ্রীত বুমরাহ ও মার্কো জ্যানসেন।
এর আগে ১৪তম আসরের উদ্বোধনী আরসিবিকে ১৬০ রানের টার্গেট দেয় মুম্বাই। এই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন আরসিবির পেসার হারশাল প্যাটেল।
মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ক্রিস লিন। তিনি ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪৯ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে। তিনি ১৩ বলে এই রান করেন।
এ ছাড়া ইশান কিষান ২৮, রোহিত শর্মা ১৯ ও হার্দিক পান্ডিয়া ১ত রান করেন। শেষ দিকে সুবিধা করতে পারেননি কিয়েরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়া।
ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ বোলিং করেন হারশাল। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন এই পেসার।
এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনি ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
খুলনা গেজেট/কেএম